নিষ্ক্রিয় গ্যাস

জানুয়ারী ০১, ২০২১

 

 

নিষ্ক্রিয় গ্যাস

আবিষ্কারক

আবিষ্কারের সাল

নামের উৎপত্তি/অর্থ

He

জ্যানসেন (পরে র‌্যামসে)

১৮৬৮

সূর্য (helios ; the sun)

Ne

র‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স

১৮৯৮

নতুন (New one; ne+on)

Ar

লর্ড র‌্যালে ও ট্র্যাভার্স

১৮৯৪

নিষ্ক্রিয়/অলস (Inset of idle)

Kr

র‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স

১৮৯৮

গুপ্ত

Xe

র‌্যামসে ও ট্র্যাভার্স

১৯০০

নবাগত

Rn

ডর্ন (Dorn)

১৯০০

রেডিয়াম বিচ্ছুরণ (Radium emanation; Rad+on)

 

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো হল- He, Ne, Ar, Kr, Xe, Rn

  • ছয়টি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যে প্রথম পাঁচটি মৌল সুস্থিত

  • হিলিয়াম এক পরমাণুক গ্যাস এবং রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়।

  • বিজ্ঞানী রেলে এবং র‌্যামসে আর্গনের নামকরণ করেন।

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ সাধারণ তাপ ও চাপে গ্যাস।

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পর্যায় সারণীতে শূণ্য শ্রেণীতে অবস্থান করে।

  • পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুগুলোর মধ্যকার দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়; ফলে এদের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।

  • XeFঅণুর আকৃতি সরলরৈখিক

  • XeFঅণুর আকৃতি সমতলীয় বর্গাকার

  • XeFঅণুর আকৃতি পঞ্চকোণীয় দ্বি-পিরামিডীয়

 

 

  • হিলিয়ামের স্ফুটনাংক খুবই নিম্ন এবং এর তরলের কোন সান্দ্রতা নেই্।

  • আর্গন ও হিলিয়াম অপেক্ষা জেনন ও ক্রিপ্টনের উপর ডাইপোলের প্রভাব বেশি দেখা যায়।

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের সকলেই বর্ণহীন ও গন্ধহীন গ্যাস। এদের তরলীকরণ বেশ কষ্টসাধ্য।

  • নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পানিতে সামান্য পরিমাণ দ্রবণীয়। পারমাণবিক ভরের বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়।

  • ১৮৯৯ সালে রাদারফোর্ড ও ওউইনস থোরিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা থেকে যে গ্যাস আবিষ্কার করেন তার নাম থোরন।

  • জেনন এর বাষ্পঘনত্ব প্রায় ৬৪

  • বিশেষ বিশেষ শর্তে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ কিছু কিছু যৌগ গঠন করে। যেমন-

  • জেনন (Xe) একক ফ্লোরিনের (F) সাথে সরাসরি বিক্রিয়া করে;

  • Xe + F2 → XeF2, জেনন ডাই ফ্লোরাইড

  • XeF2 + F2 → XeF4, জেনন টেট্রা ফ্লোরাইড

  • XeF4 + F2 → XeF6, জেনন হেক্সা ফ্লোরাইড

  • উত্তেজিত অবস্থায় হিলিয়াম (He) বিসমাথ হ্যালাইড (BiHe) ও প্যালাডিয়াম হ্যালাইড (PbHe) গঠন করে।

 

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ব্যবহার :

নিষ্ক্রিয় গ্যাস

ব্যবহার

 

হিলিয়াম (He)

হালকা বলে উড়োজাহাজ ও আবহাওয়া বেলুনে ব্যবহৃত হয়।

গভীর পানির নিচে ডুবুরিগণ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।

হাঁপানির রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যও অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

NMR মেশিন ঠাণ্ডা করতে তরল হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।

গবেষণাগারে নিষ্ক্রিয় পরিবেশে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য হিলিয়াম ব্যবহৃত হয়।

নিয়ন (Ne)

নিয়নবাতি ও রং-বেরংয়ের আলোকসজ্জায়

ভোল্টামিটার ও রেকটিফায়ার যন্ত্র সংরক্ষণে নিয়ন-হিলিয়াম মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়।

 

আর্গন (Ar)

বৈদ্যুতিক বাল্বে এখন নাইট্রোজেনের বদলে আর্গন ব্যবহার করা হয়।

তেজস্ক্রিয়তা মাপার যন্ত্র গিগার মুলার কাউন্টারে আর্গন ব্যবহৃত হয়।

 

ক্রিপ্টন (Kr)

টিইব লাইট এবং বৈদ্যুতিক গ্যাস বাল্বে ব্যবহৃত হয়।

 

জেনন (Xe)

ফটোগ্রাফিক ফ্লাশ লাইটে ব্যবহৃত হয়।

 

রেডন (Rn)

ক্যান্সার চিকিৎসা এবং রেডিও থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়।

 

 

  • XeF2 প্রস্তুতি :

   Xe ও Fএর মিশ্রণকে তাপমাত্রায় একটি নিকেল টিউবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয় এবং    তারপর তাপমাত্রার একটি টিউবের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করা হয় যেখানে সৃষ্ট XeFজমা হয়।

 

  • XeF4 প্রস্তুতি :

  1:5 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 6 atm চাপে ও 400°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে XeF4      তৈরি হয়।

 

  • XeF6 প্রস্তুতি :

   20:1 অনুপাতে Xe ও Fএর মিশ্রণকে 200-250°C তাপমাত্রায় ও 50 atm চাপে বিক্রিয়া   করালে প্রায় 95% XeF6 তৈরি হয়। তাপ ও চাপ বাড়ালে এই হারও বাড়ে।

 

  1. নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলির ইলেক্ট্রন বিন্যাস :

 He (2) → 1s2

 Ne (10) →1s2 2s2 2p6

 Ar (18) →3s2 3p6

 Kr (36) →4s2 4p6

 Xe (54)  →5s2 5p6

 Rn (86) →6s2 6p6

 

  1. বায়ুমণ্ডলে নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরিমাণ :

নিষ্ক্রিয় গ্যাস

বায়ুমণ্ডলে পরিমাণ

বায়ুতে ঘনমাত্রা

হিলিয়াম (He)

0.0005

5.0

নিয়ন (Ne)

0.0015

20.0

আর্গন (Ar)

0.9320 (সবচেয়ে বেশি)

10000

ক্রিপ্টন (Kr)

0.0001

1.0

জেনন (Xe)

0.00001 (সবচেয়ে কম)

0.08

রেডন (Rn)

-

-